রাচিন রবীন্দ্রর শতক ও কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ইনিংসে চারশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্য তাড়ায় লড়ে যান ফখর জামান ও বাবর আজম।

ফখর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পর ফিফটি হাঁকিয়ে বাবরও এগোতে থাকেন। তবে বৃষ্টির কারণে আর মাঠে নামা হয়নি তাদের। এতে ডিএলএস মেথডে জয়ী ঘোষণা করা হয় দলটিকে।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ২১ রানে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৪০১ রান।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে ২১.৩ ওভার শেষে হানা দেয় বৃষ্টি। পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে তখন ১ উইকেট হারিয়ে রান ১৬০। বৃষ্টি থামলে আবার নেমে ঝড়ো ব্যাট চালাতে থাকে তারা। ডিএলএস মেথডে তখন ৪১ ওভারে লক্ষ্য ধরা হয় ৩৪২। ২৫.৩ ওভার শেষে আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। পরবর্তীতে ডিএলএস মেথডে জয়ী ঘোষণা করা হয় বাবর আজমদের।

আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রান করে বিদায় নেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রাচিনকে সঙ্গে নিয়ে চোট থেকে ফেরা উইলিয়ামসন গড়েন ১৮০ রানের জুটি। যদিও তাকে সাজঘরে যেতে হয় সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ইফতিখার আহমেদের বলে ফখর জামানকে ক্যাচ দেওয়ার আগে সেঞ্চুরি থেকে দূরে ছিলেন পাঁচ রান। ৭৯ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন। এবারের আসরে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। যদিও শতক ছোঁয়ার পর খুব বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি নিজেকে। ৯৪ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১০৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের। এরপর ড্যারিল মিচেলের ২৯, মার্ক চাপম্যানের ৩৯, গ্লেন ফিলিপসের ৪১ ও মিচেল স্যান্টনারের অপরাজিত ২৬ রানের ইনিংসে চারশ পার করে নিউজিল্যান্ড।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ওয়াসিম। একটি করে শিকার হাসান, হারিস রউফ ও ইফিতখারের।

রান তাড়ায় খেলতে নেমে ৪ রানেই উইকেট বিলিয়ে দেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। নিউজিল্যান্ডের মতো দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে পাকিস্তান। লড়তে থাকা ফখর শতক পূর্ণ করেন ৬৩ বলে। অপরপ্রান্তে বাবর পান ফিফটির দেখা; ৫২ বলে। শেষ পর্যন্ত দুই ধাপে বৃষ্টি বাধার কারণে জয়ী ঘোষণা করা হয় পাকিস্তানকে। ৮১ বলে ৮ চার ও ১১ ছক্কায় ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফখর। ৬৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন বাবর।

এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে পাকিস্তান। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আফগানিস্তান। একই পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড চারে। আর অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তিন নম্বরে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। দুইয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ১২।